বিনোদন প্রতিবেদক
কয়েক দিন আগেই ‘বরবাদ’ সিনেমার প্রযোজকের কথায় ঢালিউড অঙ্গনে হইচই পড়ে যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ শুধু জনপ্রিয়তায়ই নয়, রীতিমতো আয়েও রেকর্ড গড়বে। প্রাথমিকভাবে আয়েরও একটা ধারণা দিয়ে বলেছিলেন, সিনেমাটি শতকোটি টাকা আয়ের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। এমন আয় ঢালিউড অতীতে দেখেনি। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য আশার কথা হলেও এখন শোনা যাচ্ছে, প্রযোজককে লগ্নির ১৫ কোটির হিসাব মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আসলে ঘটনা কী?
গতকাল থেকেই কেউ কেউ লিখছেন, ‘বরবাদ’ এর লগ্নি ওঠানো নিয়েই এখন চিন্তায় প্রযোজক—এমন প্রশ্ন শুনেই প্রযোজক শাহরিন আক্তার জানালেন, এমন কথাগুলো তিনি শুনেছেন। তবে তাঁরা লগ্নি ফেরানো নিয়ে কোনো চিন্তাই করছেন না। তাঁদের সিনেমাটির আয় হবে, এ ব্যাপারে তাঁরা শতভাগ নিশ্চিত। কারণ, এখনো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আসবে। এ ছাড়া সামনে আরও সময় রয়েছে।
শাহরিন আক্তার আরও জানান, ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির দর্শক–চাহিদা থাকলেও অনেক সিঙ্গেল হল থেকে সঠিক হিসাব পাচ্ছেন না। দর্শক কম এমন কথাও শুনতে হচ্ছে। এতে যা আয় হবে সেই অর্থ থেকে অনেক অর্থ কম দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন কেউ কেউ। শুধু এই একটি কারণে তাঁরা এখনো লগ্নি উঠিয়ে আনতে পারছেন না। তাঁর সেই কথাই ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন অনেকে।
প্রযোজক বলেন, ‘আমাদের ই-টিকেটিং না থাকায় আমরা ভুল সিস্টেমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমরা কিছু হলমালিকের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছি। তা না হলে আমার লগ্নি অনেক আগে উঠে যাওয়ার কথা। অথচ এখনো লগ্নি ওঠেনি। তবে উঠে যাওয়ার কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছি। তার মানে এই নয় যে লগ্নি ওঠানো নিয়ে আমরা চিন্তিত বা ওঠাতেই পারব না।’
মুক্তির প্রথম সপ্তাহের পর প্রযোজক জানিয়েছিলেন তাঁদের সিনেমাটি টিকিট বিক্রি থেকে আয় করছে ২৭ কোটি টাকার মতো। এটা সিনেমাগুলো হাউসফুল ও শো সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে হিসাব করা। পরে আরও দুই সপ্তাহ চলে গেছে। এর মধ্যে সিনেমাটি মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে বেশিসংখ্যক শো পাচ্ছে। নতুনসহ অনেক সিঙ্গেল হলে সিনেমাটি তৃতীয় সপ্তাহ চলছে। সব মিলিয়ে ‘বরবাদ’ সিনেমার নতুন আয়ের তথ্য আছে কি না?
আয় প্রসঙ্গে প্রযোজক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা একটা হিসাব করেছি। সেখানে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে আমাদের গ্রস টিকিট সেল হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ কোটি টাকা। এটা আজ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেব। কারণ, তথ্যটা বাংলা সিনেমার জন্য সুসংবাদের। এটা আমাদের আশ্বস্ত করেছে সিনেমা ভালো হলে দর্শক দেখবেন। তবে প্রযোজকদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য সিঙ্গেল হলমালিকদেরও সহযোগিতা করতে হবে। তাঁরা শুধু নিজেরটাই বোঝেন।’
এই সময় প্রযোজক অভিমান করেন বলেন, ‘বেশির ভাগ সিঙ্গেল হল ঠিকমতো টাকার হিসাব দিচ্ছে না। হল থেকে শুনতে হচ্ছে, সারা বছর তাঁরা কীভাবে চলবেন। এখন মনে হচ্ছে সিনেমা দিয়েই আমি বিপদে পড়েছি। তাঁদের সারা বছরের লোকসানের দায়িত্ব একটি সিনেমাকে নিতে হচ্ছে। সিনেমা হলে আমাদের লোক গেলে তখন শো হাউসফুল হয়, অন্য সময় শোয়ে নাকি সিট খালে থাকে।’
0 comments: