Monday, April 14, 2025

আবার গড়া হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখচ্ছবি’, সকাল ৯টায় হবে আনন্দ শোভাযাত্রা

SHARE

 


ফিরে আসছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখচ্ছবি’, সকাল ৯টায় শুরু আনন্দ শোভাযাত্রা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রঙিন আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্‌যাপন হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চারুকলা অনুষদের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টায় বের হবে বহুল আকাঙ্ক্ষিত বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।

শোভাযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ ‘ফ্যাসিবাদের মুখচ্ছবি’ মোটিফটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর নতুন করে তৈরি করছেন চারুকলার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার রাতেই থার্মোকল দিয়ে এটি বানানোর কাজ শুরু হয় এবং রবিবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অধিকাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে, রাতেই শেষ হবে পুরো প্রস্তুতি। নতুন এই মোটিফটি ১৬ ফুট লম্বা হবে।

আজ চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা গেছে, শোভাযাত্রার জন্য তরমুজ, বাঘ, ইলিশ, শান্তির পায়রা ও পালকির মোটিফও প্রস্তুত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দারুণ কাজ হচ্ছে। আশা করি, আমরা সব কিছু সময়মতো শেষ করতে পারব।’

এর আগে শনিবার সকালে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে গেছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখচ্ছবি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ দুটি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ধারণা, এগুলো ভোরের দিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমরা একটি ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে বাধা এসেছে। বাধা থাকবেই, ষড়যন্ত্রও চলবে। তবে আমরা থামছি না।’

‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’—এ বছরের প্রতিপাদ্য

এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য “নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান”। বর্ষবরণের শোভাযাত্রা শুরু হবে চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে, যাবে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে আবার চারুকলায় ফিরে আসবে।

সকাল ৮টা থেকেই শুরু হবে প্রস্তুতি। অংশগ্রহণকারীদের শুধু নীলক্ষেত ও পলাশীর মোড় দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। অন্য প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবাইকে শোভাযাত্রায় শেষপ্রান্ত থেকে ঢোকার অনুরোধ জানিয়েছে এবং পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে বলেছে নিরাপত্তার স্বার্থে।

শোভাযাত্রায় অংশ নিচ্ছে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও আন্তর্জাতিক অতিথিরা। থাকবে সাতটি বড়, সাতটি মাঝারি ও সাতটি ছোট মোটিফ।

পয়লা বৈশাখে ক্যাম্পাসে মুখোশ পরা যাবে না, তবে চারুকলার তৈরি মুখোশ হাতে রাখা যাবে। ভুভুজেলা বাজানো বা বিক্রি নিষিদ্ধ।

নববর্ষে যান চলাচলে কড়াকড়ি

নববর্ষের দিন বিকেল ৫টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। এরপর ক্যাম্পাসে শুধু বের হওয়া যাবে, প্রবেশ নয়। আজ সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়িই ঢুকতে পারবে। মোটরসাইকেল চলাচল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যারা থাকেন, তারা শুধুমাত্র নীলক্ষেত ও পলাশীর ফটক ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন।

যাত্রাপালায় ফিরবে ইতিহাস

বৈশাখের ২ তারিখ চারুকলার বকুলতলায় সন্ধ্যা ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিবেশিত হবে ঐতিহাসিক যাত্রাপালা ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’।

SHARE

Author: verified_user

0 comments: